বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ কবি মালাধর বসু ও শ্রীকৃষ্ণবিজয়' কাব্যে বাংলাদেশ ও বাঙালি জীবনের পরিচয় Translation of Bengali Literature Poets Maladhar Basu

বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ কবি মালাধর বসু ও শ্রীকৃষ্ণবিজয়' কাব্যে বাংলাদেশ ও বাঙালি জীবনের পরিচয়
Translation of Bengali Literature Poets Maladhar Basu and Srikrishna Vijaya 'introduces Bangladesh and Bengali life
মালাধর বসু
পঞ্চদশ
শতাব্দীর কবি (প্রাক-চৈতন্যযুগের
কবি) মালাধর বসু তার জন্মস্থান বর্ধমান
জেলার কুলিন গ্রামে। পিতা—ভগীরথ বসু,
মাতা—ইন্দুমতী।
পুত্র সত্যরাজ খান (অপর নাম
রামানন্দ বসু) শ্রীচৈতন্যদেবের ভক্ত
ও পার্ষদ ছিলেন। সবদিক
বিচার করে বলা চলে
মালাধর বসু পঞ্চদশ শতকের
দ্বিতীয়ার্ধের লোক
ছিলেন।আদি-মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয়
অনুবাদ মালাধর বসু ।
‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়, (গ্রন্থের
অপর নাম গোবিন্দমঙ্গল) ভাগবত পুরাণের অনুবাদক
হলেন মালাধর বসু। ভাগবতে
দশম ও একাদশ স্কন্ধের অনুবাদে শ্রীকৃষ্ণের জীবনমাহাত্ম
বর্ণিত হয়েছে যেখানে বারোটি স্কন্ধে
বিভক্ত।
মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব
কৃদাসকবিরাজ বিরচিত শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থে মালাধর
বসুর শ্ৰীকৃবিজয় কাব্যের বিশেষ প্রশংসা করেছিলেন। কুলীন
গ্রাম ভক্তসাধক কবি মালাধর বসুর
বাসভূমি বলে চৈতন্যদেব এই
গ্রাম ও গ্রামবাসীকে সবিশেষ সম্মান করতেন। চৈতন্য
সংস্কৃতির স্পর্শে কুলীন গ্রাম একদা
বৈযুবতীর্থের মর্যাদা
লাভ করেছিল। মালাধর
বসুর পৌত্র রামানন্দ বসু
চৈতন্য-পার্ষদ ছিলেন।
শ্ৰীকৃবিজয়'
কাব্যের রচনাকাল পঞ্চদশ শতাব্দী।
কবির কথায় ১৪৭৩ খ্রিস্টাব্দে
কাব্য শুরু করেন এবং ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দে
সম্পূর্ণ করেন।(কাব্য আরম্ভ (১৩৯৫
শকাব্দ + ৭৮) = ১৪৭৩ খ্রিস্টাব্দে। কাব্যের সমাপ্তি (১৪০২ শকাব্দ + ৭৮)
= ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দে।)গুণরাজ খান উপাধি মালাধর বসুকে দিয়েছিলেন
গৌড়েশ্বর সামসুদ্দিন ইউসুফ শাহ (মতান্তরে, রুকনুদ্দিন
বরবক শাহ)। শ্রীকৃষ্ণবিজয়
কাব্যটি 'শ্রীকৃষ্ণবিক্রম', ‘গোবিন্দ বিজয়’ ও
‘গোবিন্দ মঙ্গল' নামেও
পরিচিত।
শ্রীকৃষ্ণবিজয় তিনটি
পর্বে বিভক্ত। আদ্য
কাহিনি, মধ্য কাহিনি, অন্তু
কাহিনি।
মালাধর বসু ভাগবতের কাহিনির বাঙালি রুচিসম্মত সুক্ষ্ম
রূপান্তরের মধ্য দিয়ে বাংলা
ভাষায় শক্তিবৃদ্ধি ও বাঙালির রসানুভূতিকে
দৃঢ় করে গেছেন।
সেদিক থেকে বাংলা সাহিত্যের
ক্রমবিকাশে মালাধর বসুর 'শ্রীকৃষ্ণুবিজয়' কাব্যটি
বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
শ্রীকৃষ্ণবিজয়'
কাব্যে বাংলাদেশ ও বাঙালি জীবনের
পরিচয় পাওয়া যায় - বৃন্দাবন,
মথুরা, দ্বারকার চিত্র অঙ্কনের মধ্যে
বাঙালি মনোভাব ও বাংলার
নিসর্গ প্রকৃতি, বিভিন্ন ফলমূল, ছায়া সুশীতল এবং
সৌরভপূর্ণ লাবণ্যময়ী বাংলাদেশের কথাই রসঘন
হয়ে উঠেছে। কবিত্ব শক্তির অভাব থাকা
সত্ত্বেও 'শ্ৰীকৃবিজয় কাব্যটি বৈষ্ণব সমাজে সমাদৃত
হয়েছিল কারণ—(ক) শ্রীকৃষ্ণবিজয়
ভাগবতের অনুবাদ (খ) কাব্যটি মধ্যযুগের
আদিপর্বে ভক্তকবি রচিত আখ্যানকাব্য
(গ) নন্দের নন্দন কৃয়
মোর
প্রাণনাথ—কবির এই উক্তিটি
মহাপ্রভুকে অত্যন্ত মুখ করেছিল এবং প্রাণনাথ’ শব্দটি
পরবর্তীকালে বৈষুব ভক্তদের নতুন
পন্থার নির্দেশ দিয়েছিল।
‘মধ্যযুগে
রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবতের অনুবাদ
বাংলা সাহিত্যকে পূর্ণতর মর্যাদা দিয়েছে।একথা
বলার কারণ - প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে রামায়ণ,
মহাভারত ও ভাগবতের অনুবাদ
প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার,বৌদ্ধযুগের অবসানে যে পৌরাণিক
আদর্শ হিন্দুসমাজ ও সংস্কৃতিকে রক্ষা
করেছিল, তার প্রভাবে বাংলা সাহিত্য ও
বাঙালির সমাজ বিশেষভাবে নতুন
রূপ লাভ করেছে।
অনুবাদ সাহিত্যে তার স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়। বস্তুত,
এই অনুবাদগুলি না পাওয়া গেলে
বাংলা সাহিত্য কোনোদিন ক্লাসিক মহিমা লাভ করতে
পারত না।
পুরাণ কাকে বলে
সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাসে দেখা যায়, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে কাহিনি কেন্দ্রিক একধরনের ধর্মগ্রন্থ ছিল। তাকেই সাধারণত পুরাণ বলা হয়। পুরাণ এক বিচিত্র সাহিত্য, যার মধ্যে একাধারে ইতিহাস, সমাজ, দর্শন ও কাব্যরস মিশ্রিত হয়ে রয়েছে। পুরাণ পাঁচটি বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত। যে গ্রন্থে সর্গ, প্রতিসর্গ, বংশ, মন্বন্তর এবং বংশানুচরিত বর্ণিত আছে, তাই পুরাণ নামে অভিহিত হয়েছে।সংস্কৃত সাহিত্যে আঠারো খানি মহাপুরাণ এবং আঠারােখানি উপপুরাণ বর্তমান। অর্থাৎ পুরাণের সর্বমোট সংখ্যা ছত্রিশ। এই ছত্রিশখানি পুরাণের মধ্যে ভাগবত পুরাণের প্রভাব আমাদের দেশে সর্বাধিক। এর প্রধান কারণ, সেকালের ও মধ্যযুগের বিভিন্ন বৈষ্ণব সম্প্রদায় এই পুরাণকে প্রধান ধর্মগ্রন্থের স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রায় হাজার বছর ধরে ভাগবত পুরাণের জনপ্রিয়তা অক্ষুন্ন।
একনিষ্ঠ বৈষ্ণব ভক্ত কবি রূপে মালাধর বসুর
পরিচয়
একনিষ্ঠ
বৈষ্ণবভক্ত কবি মালাধর ভক্তভাবে
কৃষ্ণলীলা বর্ণনা করেছেন।
বর্ণনায় সরলতা ও অকৃত্রিমতা এসেছে। ভক্তের
দৃষ্টিতে ‘কৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান’,
তাই কবিও কৃষ্ণলীলাকে ভাগবতলীলা
মনে করেছেন। রাসলীলার শেষে কবি যেভাবে
পাঠককে উপদেশাবলি শুনিয়েছেন তাতে করে কবির
ভক্তস্বরূপটি আরও
স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
‘গৌড়েশ্বর দিলা নাম গুণরাজ খান'—‘গুণরাজ খান কে
‘গুণরাজ
খান হলেন ভাগবতের অনুবাদক কবি মালাধর বসু। মালাধর
কথিত গৌড়েশ্বর সম্পর্কে মতভেদ আছে। কারও
মতে গৌড়েশ্বর হুসেন শাহ, মতান্তরে
গৌড়েশ্বর রুকনুদ্দিন বরবক শাহ, সামসুদ্দিন ইউসুফ শাহ প্রমুখ। বলা
যেতে পারে, মালাধর বসুর
শ্রীকৃষ্ণবিজয় ১৪৭৩ থেকে ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দের
মধ্যে রচিত। এই
সময়ের মধ্যে গৌড়েশ্বর ছিলেন
রুকনুদ্দিন বরবক শাহ (১৪৫৯-১৪৭৪ খ্রিস্টাব্দ)। আর
তাঁর উপাধিলাভ যদি দেরিতে হয়ে
থাকে তবে গৌড়েশ্বর হবে
তৎপুত্র সামসুদ্দিন ইউসুফ শাহ।
মালাধর বসু সম্পর্কে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের উক্তি
মালাধর
বসু সম্পর্কে মহাপ্রভুর উচ্ছ্বসিত প্রশংসাক্তি, ‘গুণরাজ খান কৈল/শ্রীকৃষ্ণুবিজয়/তাহা এক বাক্য তাঁর/আছে
প্রেমময়/নন্দের নন্দন কৃষ্ণ/মোর প্রাণনাথ/এই বাক্যে বিকাইনু
তাঁর বংশের হাত। মহাপ্রভু
শ্রীচৈতন্য মধুর ভজনের সংকেত
পেয়েছিলেন মালাধরের বহুসমাদৃত এই বাক্যটিতে।
শ্রীকৃষ্ণবিজয়' কাব্যের উপজীব্য
শ্রীকৃষ্ণবিজয়'
কাব্যের উপজীব্য শ্রীকৃষ্ণের বীরত্ব ও তাঁর
কীর্তিকথা। শ্রীকৃষ্ণের
কীর্তিকলাপ বর্ণনা করে ধর্মীয় আদর্শে মানুষকে অন্ধকুসংস্কার,
অবিদ্যা ও মূঢ়তা থেকে
উদ্ধার করতে এই কাব্যে
প্রয়াসী কবি মালাধর বসু।
শ্ৰীকৃবিজয়' কাব্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
ভাগবতে
দশমস্কন্ধে কৃষ্ণের জন্ম থেকে দ্বারকালীলা
পর্যন্ত শান্ত জীবনকাহিনি এবং
একাদশ স্কন্ধে যদুবংশ ধ্বংস, কৃষ্ণের দেহত্যাগ
ও উদ্ধবের কথোপকথনের মাধ্যমে জ্ঞান,
কর্মভক্তি ও মুক্তির নানা তত্ত্বজ্ঞান প্রকাশ পেয়েছে।
মালাধর ভাগবতের এইসব ভগ্নাংশকে বাদ
দিয়ে কেবল কাহিনি অংশটুকু গ্রহণ
করেছেন। আসল
কথা, কৃষ্ণের জন্ম থেকে দেহত্যাগ
পর্যন্ত কৃয়লীলার সামগ্রিক জীবনী মালাধর বসু জনচিত্তের উপযোগী করে রচনা
করেছেন।
কাহিনিবিন্যাসে মালাধরের মৌলিকতার পরিচয়
শ্রীকৃষ্ণুবিজয়ের
তিনটি পর্বে বিন্যস্ত কাহিনিবিন্যাসে
মৌলিকতা রয়েছে। আদ্যকাহিনি
বা বৃন্দাবন লীলায় বসুদেব ও কংসের
ভগিনী দেবকীর বিবাহ, দেবকীর
অষ্টম গর্ভে কৃয়ের জন্ম,
নন্দালয়ে কৃষ্ণের লালন-পালন, ইন্দ্রযজ্ঞ নিষেধ,
রাস অনুষ্ঠান, কংস কর্তৃক কৃষ্ণবধের
মন্ত্রণা ও কৃষ্ণ বলরামের
মথুরা গমন স্থান পেয়েছে।
মধ্য কাহিনি বা মথুরালীলায়
কংসবধ থেকে দ্বারকা গমন
পর্যন্ত কাহিনি। অন্তকাহিনি বা দ্বারকা লীলায়
কৃষ্মের রুক্মিণীহরণ, সত্যভামার সঙ্গে কৃষ্ণের বিবাহ,
ঊষার সঙ্গে, অনিরুদ্ধের বিবাহ, জরাসন্ধ বধ,
সুভদ্রা হরণ, দ্বারকাপুরী ধ্বংস
ও কৃষ্ণের দেহত্যাগ প্রভৃতি স্থান পেয়েছে। পয়ার ও ত্রিপদী
ছন্দে মালাধর ভারতবর্ষের শ্রীকৃষ্ণের
ঐশ্বর্যরূপকে বাংলা
ভাষায় তুলে ধরতে প্রয়াসী
হন। বড়ু
চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনে শুধু কংসবধের জন্য
মথুরা গমনের ইঙ্গিতটুকু রয়েছে। বড়ুর
কাব্যে প্রেমলীলাই সুপ্রকট। কিন্তু
বললে সত্যের অপলাপ হবে না যে
কৃষ্ণের ঐশ্বর্যরূপ বর্ণনায় মালাধরই পথিকৃৎ। বিষয়বস্তুর
এই নতুনত্বই তাঁর কাব্যের উপজীব্য বস্তু।
মালাধর বসুর কবিত্বশক্তির পরিচয়
কবি
ভক্তিপ্রকাশে যতটা আগ্রহী ছিলেন,
ততটা রচনা সৌকর্যের দিকে
দৃষ্টি দেননি। তবুও
অনুগ বিষয়াদির বর্ণনায় কোথাও মালাধরের স্বতঃস্ফূর্ত
কল্পনাশক্তি আবেগের গীতিমূচ্ছনায় রসমণ্ডিত
হয়ে উঠেছে। মালাধর
বসু ভাগবতের আক্ষরিক অনুবাদ করেননি। যেখানে
তাঁর স্বকীয়তা প্রাধান্য পেয়েছে সেখানেই রচনা কল্পনাশক্তির পরশমণিতে
উজ্জ্বল।
ভাগবত
অনুবাদ বাংলাদেশে পরবর্তীকালে জনপ্রিয়তা লাভ করেনি কারন- (ক) অনুবাদের ক্ষেত্রে
প্রথম শ্রেণির কবিপ্রতিভার আবির্ভাব হয়নি। ফলে
আপামর জনসাধারণ
এর প্রতি বিশেষ আকর্ষণবোধ করেননি।
(খ) চৈতন্যযুগে বৈষ্ণব পদশাখা রচনা সৌকুমাৰ্যে
ও ভক্তির প্রগাঢ়তায় প্রাধান্য
লাভ করে। ভাগবতের
ঘটনা বিবৃতি পদাবলিতে গীতিরসার্স হয়ে
একটা অনন্য রোমান্টিক ঐশ্বর্যলাভ করেছে। (গ)
ভাগবতে ঐশ্বর্যভাবেরই প্রাধান্য। অনুবাদকগণ যদিও দশম-দ্বাদশ
স্কন্ধ অবলম্বনে কৃষ্ণকাহিনি বর্ণনা করেছিলেন, কৃষ্ণের
ওই লীলাকে অস্বীকার করতে পারেননি।
ভাগবতের অনুবাদ বৈষ্ণব সমাজে
প্রত্যাশিত জনপ্রিয়তা পায়নি।
অষ্টাদশ শতাব্দীর ভাগবত অনুবাদ শাখার বৈশিষ্ট্য
অষ্টাদশ
শতাব্দীর ভাগবতের অনুবাদ পূর্বতন ধারারই
গতানুগতিক অনুবর্তন ছাড়া আর কিছু
নয়।এ
সময়ে সমাজে চৈতন্য প্রভাবিত
জীবনরস নিঃশেষিত হয়ে এসেছিল।
প্রাণশক্তির সেই অভাব পূরণের জন্য কবিরা
পুরাণের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু
প্রতিভার জীবন্তশক্তির অভাবে কাব্য রসকর্ষ লাভ করেনি। সেজন্য
এই কাব্যগুলি জনচিত্তকে তেমন অধিকার করতে
পারেনি।
ভাগবতের
আখ্যান অবলম্বনে স্বাধীন ধরনের যেসব কাব্য
রচিত হয় তাতে কোন উচ্চতর প্রতিভাশালী
কবির আবির্ভাব ঘটেনি। তাই
উন্নততর ভাবকল্পনা ও ভক্তিরসের নিবিড়তার
অভাবে ভাগবতের অনুবাদ জনগণের কাছে
তেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি।
তা ছাড়া ভাগবতে কৃষ্ণের ঐশ্বর্যময়
বর্ণনা গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজ ও
সাধারণ মানুষের মনের অনুপযোগী। মহাপ্রভুর
আবির্ভাবে সমাজে ভাবের যে বিপুল
প্লাবন আসে—তার স্বতঃস্ফূর্ত
কাব্যিক অভিব্যক্তি ঘটেছে বৈষ্ণব পদাবলিতে। পদাবলির
যুগে রচিত ভাগবতের অনুবাদগুলি
তাই জনপ্রিয় না হওয়ারই কথা।
COMMENTS