জন্ম হয়েছিল ১৯০৭ সালের ৬ই অক্টোবর অবিভক্ত পাঞ্জাবে লায়েলপুর জেলার বাঙ্গা গ্রামে। পিতার নাম সর্দার কিষাণ সিং। ছোটো থেকেই ভগৎ সিং বৈপ্লবিক পরিমণ্ডলের
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে শহিদ ভগৎ সিং
-:- জন্ম : ৬ই অক্টোবর ১৯০৭ খ্রীঃ -:- মৃত্যু : ২৩শে মার্চ ১৯৩১ খ্রীঃ -:-
জন্ম হয়েছিল ১৯০৭ সালের ৬ই অক্টোবর অবিভক্ত পাঞ্জাবে লায়েলপুর জেলার বাঙ্গা গ্রামে। পিতার নাম সর্দার কিষাণ সিং। ছোটো থেকেই ভগৎ সিং বৈপ্লবিক পরিমণ্ডলের মধ্যে মানুষ হয়েছিলেন। এই পরিবারের অনেকে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে আমরা তাঁর কাকা সর্দার অজিত সিং এবং সন্ত সিং-এর কথা বলব। তাঁরা দুজনেই ছিলেন কিষাণ আন্দোলনের নেতা।
জালিয়ানওয়ালাবাগে ঘটে গেল বর্বর হত্যাকাণ্ড। কুখ্যাত ডায়ারের নির্দেশে হাজার হাজার মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হল। কিশোর ভগৎ সিং এই ঘটনাতে বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি বুঝতে পারলেন, এবার ব্রিটিশের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অংশ নিতে হবে।
১৯২৩ সালে মাত্র ষোলো বছর বয়েসে বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে এলেন কানপুরে। পড়াশুনার ইতি ঘটে গেল। সেখানে বলবন সিং নামে গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী প্রথা পত্রিকায় কাজ নিলেন। নাম গোপন করার অন্তরালে অনেকগুলি কারণ ছিল। ভগৎ সিং চাইতেন না যে, বাড়ির লোকের কাছে তাঁর আসল পরিচয় প্রকাশিত হোক। প্রথা পত্রিকা অফিসে কাজ করার সূত্রে যোগাযোগ চন্দ্রশেখর আজাদ এবং পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিলের মতো বিশ্বখ্যাত বিপ্লবীদের সঙ্গে। এই সময় ভগৎ সিং নওজওয়ান ভারত সভা নামে একটি বৈপ্লবিক দল তৈরি করেছিলেন। কিছুদিনের মধ্যে দলের সদস্য সংখ্যা অত্যন্ত বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই দলের মাধ্যমে ভগৎ সিং তাঁর মতবাদ জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করার চেষ্টা করেন। ভগৎ সিং চিরদিনই শ্রেণিহীন সমাজব্যবস্থার কথা বলে গেছেন। বয়েসে কিশোর হলে কী হবে, তখন থেকেই তাঁর পরিমিত রাজনৈতিক প্রজ্ঞার সন্ধান পাওয়া গেছে।
তিনি আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন। তা হল হিন্দুস্থান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনকে পুনর্গঠিত করা। নানা কারণে সেই বৈপ্লবিক সংগঠনটি আগের মতো কাজ করতে পারছিল না। দক্ষ প্রশাসক হিসেবে ভগৎ সিং বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই সংগঠনটিকে পুনর্জীবিত করতে হলে মৌলিক পরিবর্তন দরকার। দলের অনেক সদস্যের সাথে মত পার্থক্য হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ভগৎ সিং নিজের পথ থেকে বিচ্যুত হননি।
১৯২৬ সালে দশহরা বোমা কাণ্ড মামলায় গ্রেপ্তার হন। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি। কিছুদিন বিচারাধীন অবস্থায় দিন কাটে। এবার তিনি ছাড়া পান।
১৯২৭ সাল,গান্ধীজি ইতিমধ্যেই অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন। ভারতের রাজনীতির ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে এক ধরনের শূন্যতা। তখন দাবী উঠেছিল প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের। দিকে দিকে জেগে উঠল নব জীবনের সাড়া। ভারতের রাজনীতির ক্ষেত্রে এই অস্থিরতা লক্ষ্য করে বড়োলাট লর্ড আরউইন একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। এই কমিশনের নাম সাইমন কমিশন। এই কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন উদারনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট সাংবিধানিক আইন বিশারদ স্যার জন সাইমন। কোনো ভারতীয়কেই এই কমিশনে নেওয়া হয়নি। এই কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল ১৯১৯ সালের সংস্কার আইন ভারতে কতটা কার্যকর হয়েছে, তা পর্যালোচনা করা। এই কমিশনের সদস্যরা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করবে। কমিশনে ভারতীয় সদস্য না থাকায় ভারতে এই কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হল। সমস্ত রাজনৈতিক দল কমিশনের গঠনতন্ত্রের নিন্দা করল। যেখানে কমিশন যাচ্ছে, সেখানে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে ধ্বনি উঠেছে-গো ব্যাক কমিশন।
১৯২৭ সাল,গান্ধীজি ইতিমধ্যেই অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন। ভারতের রাজনীতির ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে এক ধরনের শূন্যতা। তখন দাবী উঠেছিল প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের। দিকে দিকে জেগে উঠল নব জীবনের সাড়া। ভারতের রাজনীতির ক্ষেত্রে এই অস্থিরতা লক্ষ্য করে বড়োলাট লর্ড আরউইন একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। এই কমিশনের নাম সাইমন কমিশন। এই কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন উদারনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট সাংবিধানিক আইন বিশারদ স্যার জন সাইমন। কোনো ভারতীয়কেই এই কমিশনে নেওয়া হয়নি। এই কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল ১৯১৯ সালের সংস্কার আইন ভারতে কতটা কার্যকর হয়েছে, তা পর্যালোচনা করা। এই কমিশনের সদস্যরা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করবে। কমিশনে ভারতীয় সদস্য না থাকায় ভারতে এই কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হল। সমস্ত রাজনৈতিক দল কমিশনের গঠনতন্ত্রের নিন্দা করল। যেখানে কমিশন যাচ্ছে, সেখানে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে ধ্বনি উঠেছে-গো ব্যাক কমিশন।
কলকাতা, মাদ্রাজ, বোম্বে সর্বত্র একই দৃশ্য। ১৯২৮ সালের ৩০ অক্টোবর কমিশন এল লাহোরে। সমস্ত পাঞ্জাব সেদিন উত্তাল হয়ে উঠল। মিছিল এগিয়ে চলল কালো পতাকা হাতে। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন পাঞ্জাবের অবিসংবাদী নেতা লালা লাজপত রায়। তিনিও ধ্বনি তুললেন গো ব্যাক সাইমন।
পুলিশ তৎপর ছিল। তারা এলোপাথারি লাঠি চালাতে শুরু করল। লালাজীর সর্বাঙ্গ রক্তে লাল হয়ে গেল। জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন তিনি। সেই জ্ঞান আর কোনোদিন ফিরে এল না।
এই ঘটনাতে ভগৎ সিং অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছিলেন। তিনি মুষ্ঠিবদ্ধ হাত আকাশের দিকে তুলে প্রতিজ্ঞা করলেন, যে করেই হোক এই জঘন্য পাশবিক ঘটনার জবাব দিতে হবে। যোগাযোগ হল শুকদেব রাজগুরু, চন্দ্রশেখর আজাদের সঙ্গে। পুলিশের বড়োকর্তা মিস্টার স্কটের হুকুমে মিছিলের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। স্কটকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে হবে।
১৭ ডিসেম্বর। বিকেল ৪-৩৭ মিনিট। পুলিশ দপ্তরের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন ভগৎ সিং, রাজগুরু, চন্দ্রশেখর। তাঁরা জানেন, একটুবাদেই স্কট অফিস থেকে বেরিয়ে আসবেন। দেখা গেল মিস্টার স্কট মোটর সাইকেল নিয়ে এগিয়ে আসছেন। রাজগুরুর হাতের অস্ত্র গর্জন করল। রাজগুরুর অব্যর্থ গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন মিস্টার স্কট। এবার গর্জন করে উঠল ভগৎ সিং-এর হাতের অস্ত্র। গুলির শব্দ লক্ষ্য করে ছুটে এলেন একজন ইওরোপীয়ান সার্জেন্ট আর স্কটের দেহরক্ষী চন্দন সিং। চন্দ্রশেখর আজাদ এবার অস্ত্র তুললেন। তাঁর অব্যর্থ গুলিতে মুখ থুবড়ে পড়ল চন্দন সিং। হৈ-চৈ চেঁচামেচির মধ্যে, বিপ্লবীরা কে কোথায় পালিয়ে গেলেন।
বিপ্লবীদের দুর্ভাগ্য, সেদিন মস্ত বড়ো ভুল হয়ে ছিল তাদের। গুলিতে শুধু নিহত হয়েছিলেন একজন পুলিশ অফিসার মিস্টার স্যাণ্ডারস। স্কট কাজের জন্য অফিসে বসেছিলেন। এবার শুরু হল তদন্ত আর নির্বিচারে গ্রেপ্তার। প্রতিবাদে ফুঁসে উঠলেন বিপ্লবী তরুণদের দল। অভিনব উপায়ে তাঁরা সরকারকে তাদের চ্যালেঞ্জের কথা ঘোষনা করলেন। এই হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন বাদে শহরের সর্বত্র এক ইস্তাহার বিলি করা হল। বিপ্লবীদের পক্ষ থেকে জানানো হল–এতদ্বারা মহামান্য সরকার ও পুলিশ বাহিনীকে অবগত করা হচ্ছে যে, তাদের মধ্যে কেউ স্যাণ্ডারসের হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলে, হিন্দুস্তান সোস্যালিস্ট রিপাবলিকান পার্টির সামরিক অধিকর্তার তরফ থেকে তাঁকে প্রচুর অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে।'
ভগৎ সিং চলে এলেন বিপ্লবের পীঠভূমি কলকাতায়। কলকাতার বিপ্লবীদের সঙ্গে তাঁর সুন্দর সম্পর্ক ছিল। বাংলার বিপ্লবীরা তাঁকে সাদরে বরণ করলেন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন।কিছু অস্ত্রশস্ত্র এবং গোটা কতক শক্তিশালী বোমা নিয়ে ভগৎ সিং লাহোরে ফিরে গেলেন। এবার তাঁকে আরও শক্ত আঘাত হানতে হবে। স্বাধীনতা তো আর মুখের কথায় আসে না। তার জন্য উপযুক্ত মূল্য দিতে হয়।
১৯২৯ সালের ৬ই জুন। দিল্লির অ্যাসেমব্লিতে সেদিন কতগুলি জরুরি বিল নিয়ে আলোচনা হবে। বিশিষ্ট দর্শকদের মধ্যে বসে আছেন মিঃ সাইমন এবং আছেন স্পিকার বল্লভভাই প্যাটেল।আলোচনা শুরু হয়েছে। হঠাৎ দুই বলিষ্ঠ তরুণ গুচ্ছ গুচ্ছ লাল ইস্তাহার ছড়িয়ে দিলেন গোটা অ্যাসেমব্লি হলে। সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণ হল। ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় ভরে গেল চতুর্দিক। ধোঁয়া সরে গেলে পুলিশরা চিৎকার করে বলল-কে এমন কাজ করেছে?
হাতের অস্ত্র ফেলে দিয়ে ধীর অবিচলিত ভাবে এগিয়ে এলেন ভগৎ সিং আর বটুকেশ্বর দত্ত। তাঁরা জানালেন—কাউকে হত্যা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তা যদি থাকত, তাহলে সাইমন এতক্ষণ ওখানে বসে থাকতে পরতেন না। আমাদের উদ্দেশ্য পাবলিক সেফটি বিলের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো। একটিমাত্র বোমা বিস্ফোরনের ঘটনায় গোটা ভারতবর্ষের সঙ্গে তোলপাড় হয়ে গেল ইংল্যান্ড। গ্রেপ্তার করা হল শুকদেব, রাজগুরু, যতীনদাস প্রমুখ বিপ্লবীদের। শুরু হল লাহোর ষড়যন্ত্রমামলা। প্রধান আসামি ভগৎ সিং, শুকদেব, বটুকেশ্বর, রাজগুরু, যতীনদাস। মোট চল্লিশজন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে তাঁরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন এবং স্যাণ্ডারস-এর মতো এক আধিকারিককে হত্যা করেছেন। ভগৎ সিং দৃপ্ত কণ্ঠে ধ্বনি তুলেছিলেন ইনকিলাব জিন্দাবাদ। সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য অভিযুক্ত বন্দিরা গলা মেলালেন-ইনকিলাব জিন্দাবাদ—বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।
৭ই অক্টোবর বিচার শেষ হল । ভগৎ সিং, শুকদেব এবং রাজগুরুকে দেওয়া হল প্রাণদণ্ড। এই রায়ের বিরুদ্ধে ভগৎ সিং এর পিতা প্রিভি কাউন্সিলে আপীল করার জন্য এক আবেদন পেশ করলেন।এই কথা জানতে পেরে স্বাধীনচেতা ভগৎ সিং খুব দুঃখ পেয়েছিলেন। তিনি তাঁর পিতাকে একটি চিঠিতে লিখলেন ‘আপনি আমার পক্ষ সমর্থনের জন্য স্পেশ্যাল ট্রাইবুনালে বিচারপতিদের কাছে আবেদন করেছেন। এই খবর পেয়ে আমি মর্মাহত হয়েছি। এই কঠিন আঘাত স্থিরভাবে সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আপনার এই আবেদন ভিক্ষা আমার মানসিক শান্তিকে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করছে। ... আপনি আমার জীবনকে যতখানি মূল্যবান বলে মনে করেন, আমি তা মনে করি না। আমার আদর্শকে বলি দিয়ে আমার প্রাণকে রক্ষা করবার কোনো প্রয়োজন নেই।
এই পরিস্থিতি গান্ধী এবং বড়োলাট' লর্ড আরউইনের মধ্যে সম্পাদিত একটি চুক্তির ফলে। শর্ত অনুযায়ী রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হল। শুধু মুক্তি পেলেন না সশস্ত্র বিপ্লবীরা। তখনও গান্ধীজি আশা করছেন যে, সহিংস কাজের জন্য যাদের ফাঁসির হুকুম হয়েছে তাঁরাও মুক্তি পাবেন। সরকার সমস্ত আবেদন অগ্রাহ্য করল। ১৯৩১ সালের ২৩শে মার্চ তারিখে দেশবাসী জানতে পারলেন, ভগৎ সিং, শুকদেব এবং রাজগুরুকে সেদিন লাহোর জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ভগৎ সিং একটা ধুমকেতুর মত ভারতবর্ষের রাজনৈতিক আকাশে ক্ষণিকের জন্য উদয় হয়েছিল। কিন্তু তাঁর এই ক্ষণিকের উদয় ব্যর্থ হয়নি। কোটি কোটি লোকের দৃষ্টি ছিল তাঁর ওপর নিবদ্ধ। তাঁরা তাঁর মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন নূতন ভারতের আত্মার প্রতীক।
মরণে নির্ভীক, সাম্রাজ্যবাদী শাসনের উচ্ছেদে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। তিনি চেয়েছিলেন আমাদের এই দেশে সাম্রাজ্যবাদের ধ্বংসাবশেষের উপর গড়ে তুলতে এ স্বাধীন গণতন্ত্রের প্রাকার।ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গেয়ে, ভারতবর্ষে ইনকিলাব জিন্দাবাদ এই মহামন্ত্রের উদগাতা বীর বিপ্লবী ভগৎ সিং ভারতবাসীর হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
COMMENTS