প্রাচীনকালে মানব সভ্যতার ঊষালগ্নে ভারতীয় উপমহাদেশ এর বাইরে যেসব সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল মিশরীয় সভ্যতা। এই সভ্যতার সাংস্কৃতিক -----
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার সংস্কৃতিক অগ্রগতির পরিচয়
প্রাচীনকালে মানব সভ্যতার ঊষালগ্নে ভারতীয় উপমহাদেশ এর বাইরে যেসব সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল মিশরীয় সভ্যতা। এই সভ্যতার সাংস্কৃতিক অগ্রগতির বিভিন্ন দিকের ক্ষেত্র গুলি হল--
লিপি:- মিশরীয়রা তাদের মনের কথা ছবি এঁকে লিখে রাখত একে চিত্রলিপি বলে নিষ্ক্রিয়দের এই চিত্রলিপি হায়ারোগ্লিফিক লিপিও বলা হতো মিসরীয় ভাষায় এই
হায়রোগ্লিফিক অর্থ হল পবিত্র লিপি।
চিত্রকলা:- মিশরীয় মন্দিরের দেওয়ালে অট্টালিকার দেওয়ালে বিভিন্ন রকম চিত্রকলার সৃষ্টি করতেন রাজা রাজপরিবার কর্মরত সমস্ত কারিগর কৃষক উৎসবের নাচ গানের ছবি প্রভৃতি উজ্জ্বল রঙে আঁকা হতো এবং সাধারণ মানুষ ও ক্রীতদাসদের ছবি অস্পষ্ট এবং ছোট করা হতো।
স্থাপত্য ও ভাস্কর্য:- মিশরীয়রা মন্দির অট্টালিকা প্রভৃতি স্থাপত্য বালি কাঠ পাথর প্রভৃতি দিয়ে তৈরি করত। মিশরের এই মন্দির ও অট্টালিকা গুলি বিশালাকৃতির হত।
শিক্ষা:- মিশরে বিনা অর্থে শিক্ষা দান করানো হতো এখানে সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বিদ্যা চর্চার প্রচলন ছিল মেয়েদের বিদ্যাচর্চার অধিকার ছিলনা পুরোহিতরা মন্দির প্রাঙ্গণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করে তা দান করতেন।
বিজ্ঞানচর্চা :- মিশরীয়রা পাটিগণিত জ্যামিতি যোগ ভাগ বিয়োগ ক্ষেত্রফল ও ঘনফল নির্ণয় দশমিকের ব্যবহার 10 এর গুণিতক ধরার প্রক্রিয়া জানতো এখানকার পুরোহিতরা বর্ষপঞ্জি তৈরি করতেন মানবদেহে নাড়ির স্পন্দন হৃদপিন্ডের ভূমিকা গাছপালার ভেষজ গুণাবলী শল্যচিকিৎসায় যন্ত্রপাতির ব্যবহার প্রকৃতি মিশরীয় জানতেন।
সাহিত্য:- মিশরীয়দের গদ্য সাহিত্য ও কাব্যচর্চার প্রচলন ছিল প্রার্থনা ঔষধ পত্র প্রভৃতি বিষয় বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে জানা যায় তাছাড়া তারা গল্প কাহিনী চর্চা করত।
ধর্মীয় জীবন:- মিশরীয়দের সূর্যদেবতা রা' ছিল প্রধান এছাড়া উর্বরতার দেবতা আসিরিস ছিল প্রধান এছাড়া তারা কুমির শিয়াল গরু প্রভৃতির পশুর ও বিভিন্ন গাছের পূজা-অর্চনা করত।
মমি ও পিরামিড:- মিশরীয় দের মতে মৃত্যুতেই জীবনের সমাপ্তি ঘটে না তারা মৃত দেহকে বিভিন্ন প্রকার সুগন্ধ দ্রব্য মসলা মাখিয়ে দেহের কাপড় জড়িয়ে সংরক্ষন করে রাখত এই সংরক্ষণ কে মমি বলে আখ্যা দেওয়া হয়। বিভিন্ন রাজা ধনী ব্যক্তির মৃতদেহ পাশে তার প্রিয় খাবার আসবাবপত্র নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রভৃতি রেখে তার উপর পাথর সাজিয়ে ত্রিকোণাকৃতির অট্টালিকা তৈরি করা হতো একেই বলা হতো পিরামিড।
নেক্সপলিস:- মিশরীয়দের রাজ পরিবারের সদস্যদের সমাধিস্থল কে নেক্সপলিস বলা হত। ভ্যালি অফ কিংস এবং রানীদের সমাধিস্থল কে বলা হতো ভ্যালি অফ কুইন্স। এই সমসময়ে যতগুলি সমাধিস্থল ছিল তারমধ্যে নেফারতিতির সমাধিটি সবথেকে বড় বলে জানা যায়।
COMMENTS